রবিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১১

তোমার বিলুপ্তির দর্শক হব

হৃদয়ের সবুজ চারন ভূমি,
তোমার প্রাত ভ্রমনের পথ;
মুখে লেগে থাকা হাসির নীচে
লুকিয়ে রাখা গরম নিশ্বাস-
আমার মুখমন্ডল ছুয়েছে বহুবার।

বসন্ত ফুলেরা স্বাগত জানিয়েছিল
তেমার ছন্দযুক্ত হাঁটাকে,
শিশির বিন্দু কোন ভুল করেনি
ধৌত করাতে তোমার পা দুটোকে।
আমার মনের লাগামহীন ঘোড়াতে
তুমি কতনা ঘুড়েছো এদিক ওদিক-

আমার অনুভূতিগুলো আচ্ছন্ন হয়ে ছিল
ওভাবে তোমাকে পাবার সাফল্যর স্বাদে;
রক্তক্ষরিত ক্লান্ত হৃদয় সেদিনও জানায়নি
তোমাকে আমার সন্তাপ গুলোকে।
সব উপেক্ষা করে অধরযুগল
তোমার ডাগর চোখে বুলিয়েছিল ছোঁয়া-

সবুজ চারণভূমি হল ধূসর,
সময়ের সাথে সাথে-
তোমারও হয়নি দেরী, পেয়েছ নতুন সবুজ
হয়তবা পরেছো নতুন কোন মুকুট-
তোমার নতুন শিকার কোন রাজপুত্রের।

হ্যাঁ প্রিয়তমা, এখন আমি
একাকীই হাঁটি মাঠের সবখানটা-
মাঠের ধূলারা আমার চোখে আঁছরে পরে
ওরা আমাকে যন্ত্রণা দেয়, আরো কত কিছু-
ভেবোনা আমি কখনও কাঁদি;
জানি আমি, কাঁদতে নেই যার তার জন্য।

নেমেসিস স্বান্তনা দেয়, বলে অপেক্ষার কথা
তোমার পরিণতির জন্য;
ওকে আমি কথা দিয়েছি
তোমার বিলুপ্তির দর্শক হব বলে।।।

বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১০

অসমাপ্ত

খালেদ সাহেব স্বপ্মেও ভাবতেও পারেনি, তাকে কোন একদিন এরকম কোন পরিস্হিতির মুখোমুখি হতে হবে।শুধুমাত্র এই অবস্হার সামনে সে দাড়াতে ভয় পাবে বলেই, ১৮ বৎসর আগে সে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছিল। কিন্তু আসলে সে পালাতে পারিনি, এটাই আজ প্রমানিত।এখন সে বুঝতে পারছে না এই বিপদ থেকে নিস্তার পাবে কি করে।তার পরেও সে তার সামনে দাড়িয়ে থাকা ছেলেটার সাথে কথা চালিয়ে যাচ্ছে, তাকে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্ন করছে। খালেদ এতটাই দ্বিধান্বিত যে সে তার প্রশ্নগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারছে না, এমনও হচ্ছে যে একই প্রশ্ন বারবার করছে, ১ঘন্টা হতে গেলেও ছেলেটাকে বসতে বলাটাও হয়নি।

খালেদ কেনই বা এই ছেলেকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দিতে যাবে।বিনামেঘে বজ্রপাত সহ্য করা যায়, কিন্তু এরকম মিথ্যা দাবী কে মেনে নেবে। কোন পাগলের পক্ষেও সেটা সম্ভবপর না।

ছেলেটার সাথে কথা বলতে বলতে খালেদ বার বার মনে করছে তার ১৮ বৎসর আগের সেই ঘটনাটি।এমন কোন দিন নেই যেদিন ঘটনাটি তাকে পীড়া দেয়নি। সেদিন কোনমতে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছিল, কিন্তু আজ।

তখন কোনমতে পড়াশোনাটা শেষ করেই সদ্যপিতৃবিয়োগের কারণে একটি চাকরী খুব দরকার ছিল।কারণ সেই মূহুর্তে সে ছাড়া তার সংসারে কেউ ছিল না হাল ধরার মত। চাকুরী পছন্দ করার মত ও কোন অবকাশ পায়নি।পরীক্ষার ফল বের হবার আগেই সে একটি এনজিও সে যোগদান করে। এনজিওটি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কাজ করত, এবং তার প্রথম পোস্টিং হল শহর থেকে অনেক দূরে এক মফস্বলে।পরিবার থেকে দূরে না থাকতে চাইলেও কি আর করা, তাকে চলে যেতে হল মা ও একমাত্র বোনের মায়া ছেড়ে।

চাকুরীতে নিজের যোগ্যতা প্রদর্শনের জন্য তার বদ্ধপরিকর মানসিকতা চাকুরীর নির্ধারিত মানসিকতা প্রকাশের পাশাপাশি তার জন্মসূত্রে পাওয়া বৈশিষ্ঠ্য ও গুনাবলী প্রকাশ করতে বাধ্য করেছিল। এজন্য অফিস টাইমের পরও সে সময় দিত তার নির্ধারিত মানুষ গুলোর পিছনে।যেচেযেচে সে শুনতো সবার কথা, কাউকে টাকা পযসা দিযে সাহায্য করতে না পারলেও সুন্দর পরামর্শ আর মিষ্ঠি হাসি দিতে সে কাউকেই কৃপনতা করেনি। অল্প সময়ের মর্ধ্যেই সবার সাথে সে গড়ে তুলেছিল এক আন্তরিক সম্পর্ক। সবাই তাকে মনে করত তাদের নিজেদের মানুষ। সেই সুবাদে সবাই তাদের মনের কথা খুলে বলত তার কাছে। জীবনযুদ্ধে পরাজিত মানুষ গুলোর কাছে সে ছিল স্বান্ত্বনার আশ্রয়। মানুষের সাথে তার এই সম্পর্ক প্রভাব ফেলেছিল তার চাকুরীর উপরও। অতিঅল্পদিনর মধ্যেই তার প্রমোশন হল, সাথে সাথে হল তার স্বপ্নপূরন‌‌ ‌, নিজ শহরেই বদলী। ৭ দিনের মধ্যেই তাকে নতুন জায়গাতে জয়েন করতে হবে। তার এই খুশী হাবার পাশাপাশি একটি কষ্ঠও তার মনে দানা বেধেছিল। মানুষের সাথে সম্পর্কের অভিনয় যে তখন শুধু অভিনয় নেই সে সেটা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারছিল।আর তার মনে একটি ভয়ও কাজ করছিল, এত লোকের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা সম্মানকে সে কিভাবে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে।

হুটকরে মানুষগুলোকে চমকায়ে দিয়ে চলে যাবার থেকে, আস্তেআস্তে মানুষ গুলোকে বিদায়বানী শুনিয়ে বোঝাতে চাচ্ছিল সে আর বেশীদিন নেই তাদের মাঝে। কিন্তু তার একথা অতিদ্রুত সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ল, তাদের প্রিয় মানুষটা আর বেশীতিন নেই তাদের মাঝে। প্রথম শুনতে পেয়ে প্রতিটা মানুষেরই মাথায় যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত হবার মতই, কেউই কখন ভাবতে পারেনি কখনও খালেদ সাহেব তাদের ছেড়ে চলে যাবে।কথাটা যে ই যখন শুনেছে তখনই ছুটে এসেছে তার কাছে কথার সত্যতা যাছাই করার জন্য। কিন্তু কেউই খুশী হয়ে ফিরতে পারেনি, সবাইকেই ফিরতে হয়েছে ব্যর্থ মনরথে।আর যাবার সময় বলে গেছে তাদের কথা যেন সে কখনও না ভুলে যায়, কিংবা যাবার আগে যেন নিদেন পক্ষে একবার দুটো ডালভাত যেন খেযে যাই তাদের বাড়ী থেকে।

সবারই দেখা করে যাওয়া তার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়নি। যে মানুষগুলো তাকে এত ভালবাসে তারা যে এটা করবে এটাই নিয়ম। কিন্তু সে চমকে গেছিল ঐ মেয়েটির আগমনের জন্য। তখন খালেদ সারাদিনের ব্যস্ততা ঘুচিয়ে রাতের খাবারের জন্য তৈরী হচ্ছিল।কিন্তু মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে তার পিলে চমকানোর মত অবস্হা। খালেদ অনেকটা অপ্রস্তুত হয়েই তাকে বলল

-আপনারতো এখানে আসার কথা নয়
-না এসে কি করি বলুন,পাড়ার সবাই একে একে আসছে। আপনি নয় কখনও আমার কোন উপকারের জন্য আমার বাসায় যাননি, যদিও পাড়াতে এমন কেন বাড়ী নেই যেখানে আপনি যাননি। কিন্তু আমিতো আপনার মত ভুল করতে পারি না। নয় আপনি উপকারটা আমাকে সেধে না ই করলেন, আপনারতো চেয়ে নিতে কোন সমস্যা থাকার কথা নয়।

এটা আসলেই সত্য এখানে আসার পর থেকে সে সবসময়ই ঐ বাড়ীটা এড়িয়ে যেত, কারণতার অফিসের সহকর্মী থেকে শুরু করে পাড়ার সবাই তাকে সতর্ক করে দিয়েছিল বাড়ীটার ঐ মেয়েটির সম্পর্কে।খালেদ সেটাই করেছিল, কখনও ভুল করেও ঐ বাড়ীর দিকে কোন উত্সাহ দেখায়নি। আর এরই জন্য কখনও অফিসের কোন সুবিধা নিয়েও হাজির হয়নি ঐ বাড়ীতে, যদি পাছে লোকে কিছু বলে।কিন্তু আজ সমস্যাটা তার নিজের ঘরে এসে হাজির, তাও আবার এই রাতের অন্ধকারে।খালেদের মনে হচ্ছিল কূলে এসে তরী ডোবার মত বিপদসংকেত; যদি কেউ দেখে ফেলে তো সব শেষ।তবু মাথা ঠান্ডা রেখে খালেদ বলল

-হু, তো বলুন কি করতে পারি আমি?
-পাড়ার মানুষের মুখে যা শুনি, আপনার মত মানুষ নাকি খুব কম পাওয়া যায়।আপনি নাকি ফেরেশ্তার মত মানুষের উপকার করেন।আমারও একটা উপকার করতে হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে একটা পাপ করতে হবে।

-কিন্তু আমি তো আপনারমতো কারোর জন্য উপকারের করতে যেয়ে কোন পাপ করতে পারবো না। তবু বলুন, অন্তত জেনে রাখি আপনার কোন উপকারটা করতে পারলাম না।
-আমি জানি আপনি রাজী হবেন না, কিন্তু রাজী হউন আর নাই বা হউন আমাকেতো তা পেতেই হবে। আমি চাই আমার গর্ভে একটি সন্তান ধারন করতে একজন খুব ভালো মানুষের। যাকে নিয়ে আমি বেঁচে থাকতে চাই অমার মত করে।যদিও সন্তান গর্ভে নেওয়া আমার জন্য কোন ব্যাপারই না। কিন্তু আমি জানি আমি যাদের সন্তান খুব সহজে নিতে পারি তারা কোন মানুষের মধ্যে পড়ে না। আর আমি এমন কোন মানুষের সন্তান কে মাতৃস্নেহে বড় চাই না।

কথা গুলো শুনতে শুনতে খালেদের মাথায় যেন বজ্রপাত হবার মত অবস্হা। এমন কথা কোন মহিলা যে এতটা সহজে বলে ফেলতে পারে সেটা সে কখন ও ভাবেনি।আর তা শোনার জন্যও একজন পুরুষের যে মানসিকতার জোর লাগে তার কোনটাই ছিল না তার কাছে।

-আমি খুব দুঃখিত যে আমার পক্ষে ওরকম কোন উপকার করা সম্ভবপর নয়।
-আমি শুধুমাত্র একটি সন্তান চাই, কখনও তার পরিচয় আপনাকে দিতে হবে না। শুধুমাত্র একটি ভালো মানুষের সন্তান আমি গর্ভে নিতে চাই।
-এত ভালো মানুষ থাকতে আমার এই কাজটি করতে হবে কেন?
-আমি ভালোমানুষদের সম্পর্কে খুব কম জানি, কারণ তারা আমার কাছে আসে না। আমি মনুষের মুখেমুখে শুনে যতটা চিনেছি তাদের মধ্যে আপনি একজন।

খালেদের কথা গুলো শুনতে শুনতে ধৈর্য্যর বাঁধ যেন ভেঙ্গে যাচ্ছিল।তার মনে হচ্ছিল খারাপ ব্যবহার করে এর থেকে নিস্তার পাওয়া যাবেনা।
-দেখুন আমাকে মাফ করবেন। আপনি অনেককে পাবেন হয়ত তারা আপনার শর্ত মেনে নিবে। কিন্ত আমার পক্ষে সম্ভব নয়।আপনি বসতে পারেন। কেউ আপনাকে এখানে দেখে ফেললে আমার সম্মানের আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
-আপনি যে সম্মান রক্ষার চেষ্ঠা করছেন, আমাকে আমার প্রাপ্য না দিলে তা এমনিতেই আপনাকে হারাতে হবে।
-আপনি কি বলতে চাইছেন?
-আমাকে সন্তান দিলে, সেটা শুধুমাত্র আমি আর আপনিই জানবো, আমাদের সন্তান ও কোনদিন জানবে না। কিন্তু সেটা না হলে সবাই কে জানাবো, আপনিই আমাকে এখানে ডেকে পাঠিয়েছেন।এই চামেলী যেটা চায়, সেটা সে যেকোন ভাবেই পাবে।

সব কথা গুলো খালেদকে ধীরে ধীরে জ্ঞানহীন করে তুলছিল, সে ঠিক বুঝছিল না আসলে সে কি করতে পারে। অবশেষে চামেলীকে নিবৃত্ত করার জন্য সে বলল
-আমাকে একটু ভাবার সময় দিতে হবে।
-সেটা আমি দিতে পারি, তবে কোন না শোনার জন্য নয়। আমি আগামীকাল আবার আসব আমার প্রাপ্য বুঝে নিতে।
খালেদ কিছু বলার আগেই চামেলী বেড়িয়ে গেল। খালেদের ধাতস্হ হতে কিছু সময় লাগল। সে বুঝতে পারল এখানে থাকা আর নিজের বিপদকে নিমন্ত্রন করা একই কথা। সেই রাতেই সে রওনা দিল বাড়ীর উদ্দেশ্য।

কথা গুলো মনে হতে না হতেই,খালেদের সুখের ভুবনের প্রিয়তমা স্ত্রী হঠাত্ এসে বলল
-গতপরশু যারা নীলুকে দেখে গেল, ওরা ফোন দিয়েছে। তোমার সাথে কথা বলতে চায়।

খালেদের সামনে বসে থাকা ছেলেটকে দেখে বলল
-ও, তুমি ব্যস্ত বুঝি। ওদের তাহলে বলে দিই, তুমি পরে কথা বলবে।
খালেদ কোন কথা বলার আগেই, সে চলে গেল।খুব দ্রুত এসে বলল
-উনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না।

রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১০

100...

১. কম্পিউটার অনেকটা মানুষের মতোই। মাত্র একটিই পার্থক্য???
এটি নিজের দোষ অন্য কম্পিউটারের ঘাড়ে চাপাতে পারে না।
২. একটি বই থেকে নিয়ে লিখলে সেটা হয় চুরি। আর কয়েকটা বই থেকে নিয়ে লিখলে সেটা হয় গবেষণা।
৩. প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হলেন তিনি, যাঁর বৃদ্ধি ওপর ও নিচ এ দুই প্রান্ত থেকে থেমে গেছে, কিন্তু পাশে বাড়ছে।
৪. হে প্রভু, আমাকে ধৈর্য দাও। এখনই দাও। এক্ষুনি।
৫. নির্বোধের সঙ্গে তর্কে যেয়ো না। সে তোমাকে নিজের পর্যায়ে নামিয়ে আনবে এবং নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তোমাকে হারিয়ে দেবে।
৬. মানুষ মাত্রেরই ভুল হয় কিন্তু অফিস মাত্রই তা ক্ষমা করে না।
৭. আমি আমার দাদার মতো ঘুমের মধ্যে শান্তিতে মরতে চাই, তাঁর বাসের যাত্রীদের মতো চিত্কার করতে করতে নয়।
৮. শিশুর সংজ্ঞা হলো--যাদের জন্মের পর প্রথম দুই বছর চলে যায় হাঁটা আর কথা শেখায় এবং তার পরের ১৬ বছরই কেটে যায় তাদের মুখ বন্ধ রাখা আর স্থির হয়ে বসা শেখায়।
৯. আপনার যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আছে, শুধু এটা বোঝাতে পারলেই আপনি কোনো ব্যাংক থেকে টাকা ধার পেতে পারেন।
১০. যদি তোমার মনে হয় যে তুমি বেঁচে আছ নাকি মরে গেছ, তা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই, তাহলে এক-দুই মাস বাড়ি ভাড়া দেওয়ার কথা ভুলে গিয়ে দেখ।
১১. ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়লেই কেবল আমরা উপসংহারে পৌঁছাই।
১২. কখনো কোনো পরিস্থিতিতেই ঘুমের ওষুধ আর জোলাপ একসঙ্গে খাবেন না।
১৩. সন্ধ্যার খবর শুরু করা হয় "শুভ সন্ধ্যা" বলে। এরপর একে একে বলা হয় সন্ধ্যাটি কেন শুভ নয়।
১৪. যদি বলো আকাশে চার বিলিয়ন তারা আছে, তাহলে না গুনেই সবাই সেটা বিশ্বাস করবে। কিন্তু যদি বলা হয়, মাত্র রং করেছি, চেয়ারের রংটা এখনো শুকায়নি, তাহলে সবাই হাত দিয়ে দেখবে।
১৫. লক্ষ্যভেদ করতে চাইলে প্রথমে তীর ছোড়ো, তারপর যেটায় লাগে সেটাকেই লক্ষ্যবস্তু হিসেবে প্রচার করো।
১৬. সময় খুবই ভালো উপশমক, কিন্ত রূপসজ্জাকর হিসেবে খুবই খারাপ।
১৭. আতিথেয়তা এমন একটি গুণ, যার কারণে অতিথিরা ভাবে, যেন তারা নিজের বাড়িতেই আছে।
১৮. আমি কাজ খুব ভালোবাসি। কাজ আমাকে আকৃষ্ট করে। আর তাইতো আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে কাজের দিকে শুধু তাকিয়েই থাকি।
১৯. একজন সেলসম্যান হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এমনভাবে আপনাকে নরকে যেতে বলবেন যে আপনি যাত্রার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবেন।
২০. একটি কার্ডের লেখা: তুমি ছাড়া জীবনটা খুবই দুঃসহ। মনে হচ্ছে, তুমি এখনো আমার সঙ্গেই আছ।
২১. সব পুরুষই বোকা, আর আমি তাদের রাজাকে বিয়ে করেছি।
২২. মৃত্যু বংশানুক্রমিক একটা ব্যাপার।
২৩. পুরুষেরা কি ঘরের কাজে সাহায্য করে?
উত্তর-করে। মেয়েরা যখন ঘর পরিষ্কার করে, তখন তারা পা তুলে বসে।

২৪. পৃথিবীতে তিন ধরনের মানুষ আছে
১. যারা গুনতে পারে।
২. যারা গুনতে পারে না।

২৫. মানুষ যতদিনে বুঝতে পারে যে তার বাবা ঠিক কথাই বলত, ততদিনে তার ছেলে বড় হয়ে তার ভুল ধরতে শুরু করে।
২৬. হে প্রভু, যদি আমার ওজন না-ই কমে, তাহলে আমার বন্ধুদের মোটা বানিয়ে দাও।

২৭. "সংক্ষেপকরণ" শব্দটি নিজে এত লম্বা কেন?

২৮. অনেক ভালোবাস? তাহলে তাজা গোলাপ ২৪ ক্যারেট সোনার ভেতর সিলমোহর করে পাঠাও।
২৯. সেদিন একটি মেয়ে আমাকে ফোন করে বলল, "চলে এস, বাড়িতে কেউ নেই।"
তার দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখি সেটি একটি পোড়োবাড়ি। সেখানে আসলেই কেউ থাকে না।

৩০. হাই! আমি ভাইরাস। আপনার মস্তিষ্কে ঢুকতে যাচ্ছি। ওয়েট! মস্তিষ্ক খুঁজছি-খুঁজছি-সরি, আপনার কোনো মস্তিষ্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমি চললাম। বাই!

৩১. বান্দরবান ঘুরে আসার পর এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করল, কি রে, বান্দরবানে প্রাকৃতিক দৃশ্য কেমন দেখলি? জবাবে আরেক বন্ধু বলল, "আরে দূর, পাহাড়ের জন্য কিছুই দেখতে পারিনি।"
৩২. আলঝেইমার (কিছু মনে না থাকার রোগ) রোগ হওয়ার একটি সুবিধা আছে। রোজই আপনি নতুন নতুন বন্ধু পাবেন।
৩৩. যে লোক দুই কানে তুলা গুঁজে রাখে, তাকে কী বলা যায়?
-তাকে যা ইচ্ছা তাই বলা যায়।
৩৪. মনে করি, A হলো একটি সফল জীবন।
কারণ A=x+y+z, এখানে x=কাজ, y=খেলা, z=মুখ বন্ধ রাখা।
৩৫. প্লেনে উঠে বিমানবালাকে বললাম, "আমার একটি ব্যাগ নিউইয়র্কে, একটি ব্যাগ লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং আরেকটি মায়ামিতে পাঠিয়ে দিন।"
মহিলা বললেন, "অসম্ভব"।
আমি বললাম, "গত সপ্তাহে আপনারা এ কাজটিই করেছেন।"
৩৬. ডাক্তার বললেন, আমি আর ছয় মাস বাঁচব। আগামী ছয় মাসে বিলের টাকা দিতে পারব না শুনে বললেন, ছয় মাস নয়, এক বছর বাঁচবেন।
৩৭. ডাক্তার বললেন, "আপনি ৬০ বছর বাঁচবেন।"
আমি বললাম, "এখনই আমার বয়স ৬০।"
ডাক্তার খুশি হয়ে বললেন, "বলেছিলাম না?"

৩৮. ভিখারি বলল, "সারা সপ্তাহ খাবারের স্বাদ পাইনি।"
উত্তর এল, "চিন্তা কোরো না, খাবারের স্বাদ এখনো আগের মতোই আছে।'"

৩৯. ছেলে: বাবা, ইডিয়ট কাকে বলে?
বাবা: ইডিয়ট হলো সেই সব বোকা ব্যক্তি যারা নিজেদের বক্তব্য এত বেশি প্রলম্বিত করে যে কেউ তার কথা বুঝতে পারে না। বুঝতে পেরেছ?
ছেলে: না।
৪০. একজন এসে পুলিশকে জিজ্ঞেস করলেন, "আমি কি এখানে গাড়িটা পার্ক করতে পারি?"
=না
=তাহলে এই গাড়িগুলো এখানে কেন?
=তারা কেউ এখানে গাড়ি পার্ক করতে পারবে কি না জিজ্ঞেস করেনি।
৪১. যে চিন্তাশক্তি দিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করা হয়, সেই একই চিন্তাশক্তি দিয়ে তা সমাধান করা যায় না।
৪২. আমি ৪৯ বছর ধরে একজন নারীকেই ভালোবাসছি। আমার স্ত্রী জানতে পারলে অবশ্য আমাকে খুন করবে।
৪৩. আমাদের বিয়েটা টিকে থাকার একটি রহস্য আছে। আমি আর আমার স্ত্রী সপ্তাহে দুই দিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো খাবার খাই আর ওয়াইন পান করি। আমি সোমবারে যাই আর আমার স্ত্রী যায় মঙ্গলবারে।
৪৪. ব্রেকফাস্টের আগে যে জিনিস দুটো কখনোই খাওয়া সম্ভব নয়, সেগুলো হলো লাঞ্চ আর সাপার।
৪৫. তুমি একটা ইলেকট্রিক ব্লেন্ডার, একটা ইলেকট্রিক টোস্টার এবং একটা ইলেকট্রিক ব্রেড মেকার কিনে বললে, "ওফ! বাসায় এত জিনিস! আমি বসব কোথায়?"
পরদিন আমি একটা ইলেকট্রিক চেয়ার কিনে আনলাম।
৪৬. এক বিশালদেহী লোক আমাকে বলল, "আমি ১০ ডলার বাজি ধরে বলতে পারি যে তুই মারা গেছিস।"
আমি তার সঙ্গে বাজি ধরতে সাহস পেলাম না।
৪৭. হাতুড়ির সবচেয়ে নিরাপদ ব্যবহার হলো, পেরেকটা অন্য কাউকে ধরতে দেওয়া।
৪৮. আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, "স্বামী হলো ওয়াইনের মতো, যত পুরোনো ততই ভালো।" পরদিন সে আমাকে সেলারে আটকে রাখল।
৪৯. প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত সমালোচনা আছে।
৫০. বাড়ির কাজ না আনার সবচেয়ে খারাপ অজুহাত হলো-আমি দেখে লেখার মতো কাউকে পাইনি।
৫১. আলোর বেগ তো সবাই জানে। অন্ধকারের বেগ কত?
৫২. যদি প্রথমবারে সফল না হও, তাহলে স্কাইডাইভিং তোমার কর্ম নয়।
৫৩. খবর: আত্মঘাতী এক লোক ভুল করে তার যমজ ভাইকে খুন করে ফেলেছে।
৫৪. স্ত্রীদের সঙ্গে তর্কের দুটি নিয়ম আছে। কোনোটিই কার্যকরী নয়।
৫৫. এক লোক লটারি জিতে টিকিট পেয়ে চীনে বেড়াতে গেছেন। এখন তিনি চীনেই আছেন। আরেকটি লটারির টিকিট জিতে দেশে ফিরতে চান।
৫৬. ধরুন, কোনো ব্যক্তি দুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের বাঁ-পাশ পুরোটাই হারিয়েছেন। এখন তাঁর কী হবে?
-তিনি এখন -অল রাইট????????????
৫৭. ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায়ও কাজ করেন কেন? উত্তর: আরে, উনি তো পি.এম, এ এম নন।

৫৮. স্কুলে একজন বোকাকে কীভাবে চেনা যায়?
-শিক্ষক যখন বোর্ড মোছেন, সে তখন তার সব ক্লাসনোট কেটে দেয়।
৫৯. মা এবং স্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য কী?
-একজনের কারণে তুমি কাঁদতে কাঁদতে পৃথিবীতে এসেছিলে, অন্যজনের কারণে তুমি সারা জীবন কাঁদবে।
৬০. স্ত্রী ও চুম্বকের মধ্যে পার্থক্য কী?
-চুম্বকের একটি পজিটিভ দিক আছে।
৬১. জনসংখ্যার বিস্ফোরণ বিষয়ে পড়াতে গিয়ে এক শিক্ষক বললেন, "আমাদের দেশে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন মহিলা একটি করে শিশুর জন্ম দেন।"
এক ছাত্র চিত্কার করে উঠল,"জলদি চল, তাঁকে খুঁজে বের করে এক্ষুনি থামাতে হবে।"
৬২. বাচ্চা ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো তার জন্ম পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
৬৩. ৩৫-এর পর আমার কি আর বাচ্চা নেওয়া ঠিক হবে?
-না। ৩৫টা বাচ্চাই যথেষ্ট।
৬৪. পৃথিবীর স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটি পজিটিভ দিক বলুন।
-এইচ আই ভি।
৬৫. দুজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার একসঙ্গে কীভাবে বড়লোক হতে পারে?
-একজন ভাইরাস লিখে, অন্যজন অ্যান্টিভাইরাস লিখে।
৬৬. গণিতের একটা বই আরেকটা বইকে কী বলে?
-তোমার কথা জানি না, কিন্তু আমার ভেতরটা সমস্যায় ভর্তি।
৬৭. আপনার স্ত্রী ড্রাইভিং শিখতে চাইলে তাঁর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না।
৬৮. এক ব্যক্তি মনোচিকিত্সকের কাছে গিয়ে বলল,"কেউ আমার কথা শোনে না" মনোচিকিত্সক সঙ্গে সঙ্গে বললেন, "নেক্সট"।
৬৯. লোকটি এতই মোটা যে সে ছবি প্রিন্ট করে না, পোস্টার ছাপায়।
৭০. দুজন ড্রাইভার ট্রাক চালাচ্ছিল।
১ম ড্রাইভার: হায়। ব্রিজটা ২ দশমিক ৭ মিটার উঁচু আর আমাদের ট্রাকটা ৩ মিটার।
২য় ড্রাইভার: যা দোস্ত, কোনো সমস্যা নেই। আশপাশে কোনো পুলিশ নেই।
৭১. মেকানিক্যাল আর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে পার্থক্য কী?
-মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অস্ত্র বানায় আর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বানায় অস্ত্রের টার্গেট।
৭২. আমার স্ত্রী গতরাতে বলছিল, আমি নাকি তার কোনো কথাই মন দিয়ে শুনি না"নাকি"এ রকমই কিছু একটা- ঠিক মনে পড়ছে না।
৭৩. গতরাতে স্বপ্নে দেখলাম, আমি ১০ পাউন্ড ওজনের একটা হটডগ খাচ্ছি। সকালে উঠে দেখি আমার কোলবালিশটা নেই।
৭৪. টিচার: তোমার বাবা তোমাকে বাড়ির কাজ করতে সাহায্য করেছেন?
ছাত্র: না। পুরোটাই উনি করেছেন।
৭৫. সব বিয়েই সুখের। পরবর্তী সময়ে একসঙ্গে থাকতে গিয়েই যত ঝামেলা শুরু হয়।
৭৬. অনেকেই চোখের বদলে মাথার ওপর চশমা পরে কেন? উত্তর: যার যেটা নষ্ট সে সেখানেই চশমা পরে।
৭৭. গত সপ্তাহে আমার সাইকিয়াট্রিস্টকে বললাম, �আমি আজকাল শুধু আত্মহত্যা করার কথা ভাবি।� শুনে তিনি বললেন, �এখন থেকে অগ্রিম ফি নিয়ে আসবেন।�
৭৮. আমি অনেক বছর ধরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিনি। আমি তার বক্তব্যে বাধা দিতে চাইনি।
৭৯. ব্যাচেলররা বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে বিবাহিতদের চেয়ে বেশি জানে, নইলে তারাও বিবাহিত হতো।
৮০. উড়োজাহাজের পেছনের সারিতে বসার কারণ দুটি। এক. হয় আপনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। দুই. আপনি আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচিত হতে চান।
৮১. অভিজ্ঞতা যে কোনো কাজে লাগে না তার প্রমাণ হলো, মানুষ একটা প্রেম শেষ হওয়ার পরও আরেকবার প্রেমে পড়ে।
৮২. তিনি খুব অল্প কথার মানুষ। তাই না?
�হ্যাঁ, সারা সকাল ধরে সেই কথাটাই তিনি বোঝালেন।
৮৩. একটি চালাক ছেলে তার পছন্দের মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিল এভাবে�সে মেয়েটিকে নিয়ে নৌকায় উঠল। নৌকাটি মাঝনদীতে যাওয়ার পর মেয়েটিকে বলল, �তুমি যদি আমার প্রস্তাবে রাজি না হও তাহলে এক্ষুনি নৌকা ছেড়ে চলে যাও।�
৮৪. একটি পরিচ্ছন্ন ডেস্ক একটি এলোমেলো ড্রয়ারের প্রতীক।
৮৫. স্বামীর কাছে আরও বেশি স্বাধীনতা দাবি করায় স্বামী মিস্ত্রি ডেকে রান্নাঘরটা বড় করে দিলেন।
৮৬. একটা ফোন এল ৭৭৭৭৭৭৭৭ নম্বরে, �হ্যালো, এটা কি ৭৭৭৭৭৭৭৭? প্লিজ, আমাকে একটা ডাক্তার ডেকে দিন না। আমার আঙুল ফোনের ডায়ালে আটকে গেছে।�
৮৭. দোকানদারের কাছে অদৃশ্য কালি চাইতেই দোকানদার বলল, �কী রঙের দেব বলুন।�
৮৮. উনি এত কৃপণ যে চিনির কৌটায় কাঁটাচামচ ব্যবহার করেন।
৮৯. পেটে প্যাঁচঅলা এক লোক ভুলে পেরেক খেয়ে ফেলায় সেটি স্ক্রু হয়ে বেরিয়েছিল।
৯০. ভোট অন্যতম নাগরিক অধিকার, যা প্রয়োগে অধিকাংশ সময়েই নাগরিকদের কোনো অধিকার অর্জিত হয় না।
৯১. ছেলে: মা, রূপকথার গল্প সব সময় �এক দেশে ছিল এক� দিয়ে শুরু হয় কেন?
মা: না, সব সময় না। মাঝে-মধ্যে অফিসের কাজে আটকে গেছি, আজ ফিরতে একটু রাত হবে দিয়েও শুরু হয়।
৯২. রেস্তোরাঁর মালিক: ওয়েটার, আজ খদ্দেরদের সঙ্গে একটু ভালো ব্যবহার করবে, কারণ আজকের ভাতের তলা ধরে গেছে, পোড়া গন্ধ।
৯৩. আমি সব সময় ওর হাত ধরে থাকি। কারণ, হাত ছাড়লেই সে কেনাকাটা করতে যায়।
৯৪. আমাদের বাসার রান্নাঘরটা এত ছোট যে ওখানে কনডেন্সড মিল্ক খেতে হয় আমাদের! এমনি দুধ খাওয়া যায় না।
৯৫. এক তরুণ রাস্তায় এক তরুণীর পথ রোধ করে বলল, কিছু মনে করবেন না। আমি একটা টেলিফোন ডিরেক্টরি লিখছি, আপনার নম্বরটা যদি দয়া করে দিতেন�।
৯৬. রাজনীতির প্রথম কথা হচ্ছে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
৯৭. বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জনৈক নেতা মাত্র চার ঘণ্টার জন্য অনশন পালন করেন। তাঁর অনশন শুরু হয়েছিল সকালে নাশতা খাওয়ার পর এবং অনশন ভাঙেন মধ্যাহ্নভোজনের আগে আগে।
৯৮. আপনার একটি ফোন থাকলে সেটি প্রয়োজনীয়তা, দুটি ফোন থাকলে সেটি বিলাসিতা, আর কোনো ফোনই যদি না থাকে তাহলে আপনি স্বর্গে বসবাস করছেন।
৯৯. নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক-ব্যবস্থার একটি চমত্কার উদার দিক, যেখানে সবাই মিলে ঠিক করে কে কে তাদের শোষণ করবে।
১০০. কারচুপি একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক শব্দ, পরাজিত দলের ভাষ্যমতে যা স্থূল ও সূক্ষ্মরূপে জয়ী দল করে থাকে।

মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০১০

ফুলের জন্ম

আমার ফুল হয়ে জন্মাটাই হয়ত সব থেকে বড় ভুল হয়েছে
সত্যি বলছি, মানুষেরা আমার যতটা গুনকীর্তি করে-
আসলে তারা সেটার এক আনাও বিশ্বাস করে না।
জন্মটাই বৃথা, বার বার হতে হয় আমাকে কালের স্বাক্ষী
বলুন, আর কত পারি? মানুষের এত অভিনয় সহ্য করতে!

মানুষের কথা আমাকে একটু বেশীয় ভাবায়
আমাকে নিয়ে যে আহ্লাদে ন্যাকামী তারা করে
আর করে যত মিথ্যা অভিনয়, আর কেউ সেটা করে না।
সহ্যকরাটাই যেন আমার কাজ,শুধু মেনে নিতে হয়-

আমার আগমনটা খুব ক্ষনিকের জন্যই হয় ধরনীতে
সেই যে ভোর বেলাতে সুবাতাস নিয়ে আগমন
সেটাই আমার কাল
সুন্দর মুখশ্রী, আর সুবাতাস এই দুই যম
জন্মলগ্ন থেকেই ওত পেতে থাকে মৃত্যুলগ্নের।
নিত্যদিনের জীবনকাল ক্ষনিকের হলেও
মনুষ্য অভিজ্ঞতা আমাকে করছে নিরাশ;
তারা করে না বিশ্বাস যেটা তারা বলে
কেউ তারা আমাকে নিজের জন্য নেয়না,
আমাকে ব্যবহার করে জন্য তাদের অপূর্নতা ঢাকার।

কোথায় তারা নেয় না আমকে বলতে পারেন?
জন্মদিনের আনন্দ, বাসরের স্বপ্ন জালের বুনন স্বাক্ষী
কিংবা মৃত মানুষের অন্তিম যাত্রা, সব খানেই মানুষ
সঙ্গী করেছে; আমাকে কেন?
তাদের অব্যক্ত ভাষা আমাকে বানিয়েছে।
কত ঘৃনা, ছলনা কিংবা চাতুরী ঢেকেছে
আমাকে ছিটিয়ে, তাদের ইচ্ছামত-
তবু নিজেরা পাল্টেনি সামান্যটুকু
আমার যমেরা আমাকে মৃত্যুর কাছে
সঁপে দিয়ে হয়েছে লাপাত্তা।
আসলে ঐ যম দুটোই আমার জীবন
তাদের প্রস্হানই আমার সমাপ্তি;
প্রস্তুতি নেওয়া নতুন করে ভাষার সম্পূরক হবার।

বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০১০

ফুলের অলি

কত ফুলের অলি হতে মন চেয়েছে
তার ইয়ত্তা কি কেউ রাখে!
কেউ রাখে না, তবে রয়ে যায় কিছু কিছু-
মনের কোঠরে, ওলিকে তাড়া করে পিছু পিছু।

সেই যে শুরু সেই ছোট্টটি থেকে
তখন শুধু লাগত ভালো দেখতে,
চাইনি তুলে রাখতে কখনও নিজের কাছে।
ওলি বড় হল, এখন শুধু দেখতে ভালো লাগা নয়
জানাতে হবে ফুলকে, তোমার গন্ধ নিতে চাই।

ওলির চলার পথে অসে নানান ফুল
কারো চোখ, কারো ঠোঁঠ কারো বা ভালো লাগে চুল;
ফুলকে শুধু জানিয়ে শেষ নয়
যেকোন ভাবে তাকে কাছে পেতে চায়।

পেল কাছে ওলি তাকে,রয়ে যায় পাশে পাশে,
অসলে বন্দীদশায় ;ওলি বলে তবু ভালোবাসি তোমায়

তারপরেও কত ফুল, করে ইচ্ছা করি ভুল,
ওলি তবু থাকে নিশ্চল।
বন্দীদশায় ঘোরে ওলি, ঘরে যে আছে তারও কুড়ি
আশেপাশে নবওলি করে উড়াউড়ি।

স্বপ্ন ছিল একটা নদী কেনার

স্বপ্ন ছিল একটা নদী কেনার, শান্ত,শুভ্র বহমান একটা নদী,

যে নদীর কোল ঘেষে সাদা সাদা নিস্পাপ কাশফুল ফুটে থাকে,

বাতাসের দোলায় আর স্রোতের কুল কুল শব্দে

আন্তরে উঠে রোমাঞ্চের মাতম,

সাদা বক উড়ে যায় দল বেধে বহুদুর,

এমন একটা নদী।

স্বপ্ন দেখতাম, একান্তই আমার একটা নদী থাকবে,

নদীর তীরে বসে বসে তোমার চুল ওড়া দেখব,

দেখব দুষ্টু বাতাস তোমার সৌন্দর্যে কেমন হিংসায় জ্বলে পুড়ে

এলোমেলো করে দিয়ে যায় তোমাকে।

তোমার চুড়ির শব্দের কাছে কিভাবে ম্লান হয়

শত বছর ধরে বয়ে যাওয়া ঐ স্রোতের শব্দ।

তোমার কপালের টিপ দেখে কেমন করে

লজ্জায় মেঘের আড়ালে যায় প্রকিতির ঐ আপুর্ব স্রিষ্টি, মায়াবী চাদ।

সারাদিন ধরে তোমার সৌন্দর্যের সাথে পাল্লা দিয়ে

প্রকিতি যখন ব্যার্থ হয়ে ঘুমুতে যায়,

তখন না, নিলা জানো, আমার বুক গর্বে ভরে যায়,

নিজেকে খুব খুব আহংকারী মনে হয়,

বাচতে ইচ্ছা করে আনন্তকাল।

কিন্তু হঠাত মনে ভয় জাগে,

আমি কী পারব তোমাকে তোমার চেয়েও বেশি ভালবাসতে।

সারাদিন নদীর ধারে কাশফুলের ছায়ায় বসে

কাশফূল আর সাদা বকদের সাথে

তোমাকে ভালোবাসার পাল্লা দেয়।

ভালোবাসা শিখি তোমার চোখে আমার জন্য জমানো ভালোবাসার

গভীরতার কাছ থেকে, আর মুগ্ধ হয়,

এত সৌন্দর্য, এত গুন নিয়েও একটা মানুষ কতটা উদার

হতে পারে ! কতটা নিস্পাপ হতে পারে!

নিলা তোমার মনে আছে, একবার আমার সে কি মাথা ব্যাথা !

তারপর, তোমার কোলে মাথা রেখে তুমি আমার চুলে বিলি কাটতেই,

কোথায় পালাল মাথা ব্যাথা।

কি আছে তোমার ঐ নিস্পাপ স্পর্শে, তোমার ঐ শুভ্র ভালবাসায়!

স্বপ্ন ছিল, নদীটা কেনার পর, তোমায় নিয়ে হারিয়ে যাব নৌকা নিয়ে,

আমার ভালবাসার তরী ভেড়াব

কোন এক নির্জন চরে, যেখানে শুধু তুমি আর আমি,

সারাদিন শুধু ভালবাসাবাসি, আর স্বপ্ন দেখা।

কিন্তু স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে গেল আমার, সময় আর পেলাম কই বল।

যখন নদী পেয়েছিলাম, টাকার আভাবে কিনতে পারি না,

এখন আমার আনেক টাকা, কিন্তু নদী কেনার সময় পায় না।

আমার প্রয়োজনে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, তোমাকে ভালবেসেছিলাম,

জীবনের প্রয়োজনে এখন আমি আনেক ব্যাস্ত, ক্লান্ত, বিদ্ধস্ত।

তারপর ও বেচে আছি,

কারণ এখনও, এত আত্রিপ্ততার মাঝেও

তুমি আমাকে আগের মতই ভালবাস।

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১০

আসিতেছে! আসিতেছে! আসার কথা আগেই ছিল কিন্তু যানজটের কারণে দেরী হয়ে গেল !!!!

জীবনে কত না গল্প পড়েছেন, কতবারই নিশ্চয় মনে হয়েছে, দেবদাস পারুকে নিয়ে এই নিষ্ঠুর সমাজের রক্তচক্ষুকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গড়ে তুলুক স্বপ্নের পূথিবী কিংবা হিমু বিয়ে করে ফেলুক আগামীকাল সকাল হওয়ার আগেই। কিন্তু তা হয় নি। কিন্তু এবার হবে !! আপনার প্রিয় চরিত্র চলবে আপনার ইচ্ছায়, আপনারই কলমের আচঁড়ে।আপনিই ঠিক করবেন আপনার পছন্দের চরিত্রের শেষ পরিণতি!


গল্প করছেন গল্পজকীর সাথে। সাথে আছি আমি গল্পজকী, জিযে ঝিমঝিম।আসুন তবে জেনে নেই অংশগ্রহণের নিয়মগুলোঃ


ধারা ১ঃ প্রথমে গল্পের একটা সুচনা করে দেওয়া হবে।সুচনা পোষ্টের যেখানে গল্প শেষ হবে, তারপর থেকে লিখবেন আপনি। আপনার লেখা শুরু হবে প্রকাশিত সুচনা পোষ্টের পর থেকে, অন্য কারোর লেখার শেষ থেকে নয়।
ধারা ২ঃ আপনার লেখা জমা দিন পোষ্টের নিচে থাকা কমেন্ট এর ঘরে, ইমেইলে পাঠানো লেখা গ্রহণযোগ্য নয়।
ধারা ৩ঃ লেখা সুচনা পোষ্টের সাথে উল্লেখিত শেষ তারিখ পর্যন্ত জমা দেয়া যাবে।শেষ তারিখের পর, গল্পজকি কমিটি সেখান থেকে একটি লেখা নির্বাচন করবেন।
ধারা ৪ঃ প্রকাশিত সুচনা লেখাটি এবং নবনির্বাচিত লেখাটি একত্রে আর একটি নতুন পোষ্ট প্রকাশিত হবে।
ধারা ৫ ঃ সেই নতুন পোষ্টের গল্প যেখানে শেষ হবে, সেখান থেকে আবার আপনি লিখবেন আগের নিয়মে।আবারো লেখা জমা দেয়ার শেষ তারিখের পর আবারো নব নির্বাচিত লেখাসহ পুরো গল্পটি নতুন করে আবার পোষ্ট করা হবে। এভাবে ৪ টি পোষ্টে পুরো গল্পটি শেষ হবে।
ধারা ৬ ঃ নির্বাচিত লেখকের নাম, পোষ্টে তার লেখার সাথে প্রকাশিত হবে। অংশগ্রহণকারী লেখকের নাম নীচে আলাদা করে প্রকাশিত হবে।
ধারা ৭ঃ ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ছাড়া কোনো লেখাই গ্রহণযোগ্য হবে না।
ধারা ৮ ঃ লেখার লেখকই সেই লেখাটুকুর স্বত্বাধিকারী থাকবে।
ধারা ৯ ঃ অংশগ্রহণকারী সকলেই উপোরোক্ত ধারাসমুহ মেনে নিয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
ধারা ১০ ঃ যেকোনো বিষয়ে গল্পজকীর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ধারা ১১ ঃ গল্পজকী যেকোনো ধারার পরিমার্জন, পরিবর্ধণ কিংবা পরিবর্তনের অধিকার সংরক্ষণ করে।


তো বন্ধুরা! প্রস্তুত হোন গল্পজকীর সাথে গল্প জমানোর জন্যে। শিঘ্যই আসছি আপনাদের সামনে আমি গল্পজকী, জিযে ঝিমঝিম, গল্পের বস্তা নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, প্রিয়জনের সাথে চুটিয়ে গল্প করুন। আপনার গল্প শুভ হোক এই কামনায় আমি জিযে ঝিমঝিম বিদায় নিচ্ছি আজকের মত। ভাল থাকা হয় যেন !!


** আপনার যেকোনো প্রকার গঠণমুলক প্রশ্ন, মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশংশা আমাদের জন্যে প্রেরণা। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগেই সুচনা লেখাটি পোষ্ট করার একান্ত ইচ্ছা নিয়ে গল্পজকী টিম নিরলস কাজ করে চলেছে। আপনার মন্তব্য আমাদের ভুলত্রুটিগুলো সংশোধণ করে একটি সুন্দর বহু লেখকের আধুনিক মহাকাব্য লেখার নিমিত্তে আমাদের ছোট ছোট লেখকের ছোট ছোট লেখার একটি সুন্দর প্লাটফরম হতে পারে। আপনার সহযোগীতা আমাদের একান্ত কাম্য। আপনার গঠণমুলক মন্তব্যের আশায় পুরো গল্পজকী টিম। ধন্যবাদ।